আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে প্রথম সারির নেতারা গ্রেপ্তার ও নিহত হবার পর অনেকটা আড়ালে চলে গেছে জঙ্গিরা। তবে এখনো বাহিরে থাকা সদস্যরা ঢাকার মহাখালী কেন্দ্রিক সংঘবদ্ধ হবার চেষ্টা করছে। জানালেন র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ।
বুধবার দুপুরে ঢাকার কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
তুহিন মোহাম্মদ বলেন, এরই মধ্যে র্যাব-পুলিশের অভিযানে নব্য জেএমবির অনেকে নিহত হয়েছেন। এছাড়াও গ্রেপ্তার আছেন বেশ কয়েকজন। কিন্তু এখনো যারা গ্রেপ্তার হয়ননি তারা সংগঠনকে গতিশীল করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জঙ্গিবিরোধী অভিযান অব্যাহত আছে। তারই অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গেলো রাতে অভিযান চালিয়ে বাড্ডা থেকে সারোয়ার-তামিম গ্রুপের ৩ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রাজধানীর বাড্ডা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিরা সারোয়ার-তামিম গ্রুপের কর্মী। অর্থ সংগ্রহ, জিহাদে উদ্বুদ্ধ করণ ও হিজরতের পূর্ব প্রস্তুতিমূলক কাজ করত। এছাড়াও তারা দেশের বাইরে থাকা সমর্থদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অর্থ সংগ্রহ করে নাশকতার কাজে ব্যবহার করত।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গি সদস্যরা ইমাম মেহেদী নামে একজন বড় ভাইয়ের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েন। গোপন বৈঠকের জন্য তারা বাড্ডার আফতাব নগর এলাকায় জড়ো হন।
গ্রেপ্তার হওয়া ৩ জঙ্গি সদস্য হলেন, মুশফিকুল হক(২৪), বিপ্লব হোসেন ওরফে সুন্নাহ কামাল ওরফে মাওলানা কামাল হোসেন বিপ্লবী (২৬) ও মামুনুর রশিদ ওরফে আবু ইউশা(২৬)।
এইচটি/জেএইচ